
নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫ | প্রিন্ট | 18 বার পঠিত
রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ ভবন ঘেরাও করে রেখেছে গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানার যোগীতলা এলাকার এ্যাপারেল প্লাস ইকো লিমিটেড এর শ্রমিকেরা। চার মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে রোববার সকাল থেকে তারা বিজিএমইএ ভবনের সামনে অবস্থান করছেন। এতে ভবনটিতে থাকা বিজিএমইএসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা আটকে পড়েছেন। সর্বশেষ সোমবার রাত ৯টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঘেরাও অব্যাহত ছিল।
সোমবার বিকেলে সেনা বাহিনীর সহায়তায় ভবনের ভেতরে থাকা বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীরা বের হয়েছেন। তবে প্রায় ৫০০ শ্রমিক এখনও ভবনটি ঘেরাও করে রেখেছে। তাদের দাবি বেতন না নিয়ে তারা এখান থেকে যাবেন না।
সরেজমিন দেখা গেছে, বকেয়া বেতনের দাবিতে রাজধানীর তুরাগ এলাকায় বিজিএমইএ ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন অ্যাপারেলস প্লাস ইকো লিমিটেডের শ্রমিকেরা। তারা গত রোববার সকাল থেকে চার মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে বিজিএমইএ ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে আসা শ্রমিকেরা জানান, মালিকপক্ষ গত ডিসেম্বরের বেতন তিন কিস্তিতে দিয়েও সম্পূর্ণ পরিশোধ করতে পারেনি। এখনও ডিসেম্বর মাসের ২০ পার্সেন্ট বেতন বাকী। তারা জানায়, কলকারখানা অধিদপ্তরের টঙ্গি অফিসে অভিযোগ জানালে মালিক পক্ষ বেতন পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা রক্ষা করেনি। শ্রমিকেরা জানান, গত দুই বছর যাবত ঈদ সামনে আসলেই মালিক পক্ষ বেতন নিয়ে নানান টালবাহানা শুরু করে দেয়। তারা বলেন, গত ঈদের সময়ও আমরা আন্দোলন করে বেতন আদায় করি। এরপর তারা কোন নোটিশ বা কোন কারণ ছাড়াই অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানাটি বন্ধ করে দেয়। কারখানা বন্ধের ফলে সহস্রাধিক শ্রমিক ও কর্মচারী অনিশ্চয়তার মুখে পড়েন। পরে বিজিএমইএ’র সহযোগিতায় শ্রমিকদেরকে শ্রম আইন অনুসারে ৪৫ দিনের বেতন দেওয়ার অঙ্গিকার করলেও ৩০ দিনের বেতন দিয়ে গত সেপ্টেম্বরে কারখানা খুলে দেয়া হয়।
কারখানার কাটিং সেকশনের শ্রমিক ফেরদৌস বলেন, বন্ধ থাকা সেই ১৫ দিনের বেতন চাই না। আমরা যে সময়ের শ্রম দিয়েছি সেই বেতনটা আমাদের দিয়ে দেয়া হোক। অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেয়া একাধিক মহিলা শ্রমিক জানান, ফ্যাক্টরিতে কাজের কোন অভাব নেই। কোন দিন প্রডাকশন একটু কম হলে অফিস রুমে নিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখে কেন প্রডাকশন কম হলো। তাহলে এখন বেতন কেন দিবে না। তারা জানায় টি এন জেড গ্রুপের অন্য কারখানাগুলোতে ঠিক মতো বেতন ভাতা পরিশোধ করা হলেও রহস্যজনক কারণে আমাদের ফ্যাক্টরিতে বেতন নিয়ে ছিনিমিনি করে আসছে। গ্রুপ পরিচালক শাহিন মালিকের শ্যালক দুলাল। শ্রমিকেরা অভিযোগ করে বলেন, এর আগেও মালিকপক্ষ কাজ করানোর পর নিয়মিত বেতন দেয়নি। বেতন চাইলে শ্রমিকদের ভয়ভীতি দেখানো হতো । এখনও কারখানার ভূমি মালিকদের দিয়ে শ্রমিকদের ভয় ভীতি দেখানো হয়। আন্দোলনরত শ্রমিকেরা বলেন, ডিসেম্বর মাসের ২০ ভাগ বেতনসহ জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মিলে এখন চার মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। কিন্তু মালিকপক্ষ বেতন দিচ্ছে না। তাই তারা বিজিএমইএ ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। এদিকে শ্রমিকদের অবস্থানকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সেখানে অবস্থান নিয়েছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ।
Posted ৯:৩৩ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫
bankbimaarthonity.com | rina sristy